বুদ্ধিজীবী দিবসে সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদ বুদ্ধিজীবীদের। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৪) শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সকাল ৯ টায় বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষক -শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ। সকাল ১১টায় লিডিং ইউনিভার্সিটির রাগীব আলী ভবনের গ্যালারি ১ এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদর অবদান অনস্বিকার্য। বিশ্বব্যাপী জনমত এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগাযাগ স্থাপনে বুদ্ধিজীবীদর ভূমিকা ছিল স্বরণীয়। শুধু আজকের দিনেই তাদের স্মরণ করলে হবেনা, বুদ্ধিজীবীদের চেতনা ধারণ করে আমাদের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিতে হবে, তাহলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে এবং বুদ্ধিজীবীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হবে।
কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, জাতির সাথে শোকাবহ এ দিনটি আমরাও আজ গভীর শ্রদ্ধা ও বেদনার সঙ্গে স্মরণ করছি। তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীরা হলো একটি জাতির মস্তিষ্ক এবং বুদ্ধিভিত্তিক সমাজ গঠিত না হলে একটি দেশের অবকাঠামো ভেঙে যেতে পারে। আজও তাদের দিকনির্দেশনায় দেশ চালিত হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নতির পথে। তারই বাস্তবতা সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শিক্ষার আলো ছরিয়ে দেওয়া দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলীর প্রতিষ্ঠিত সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটি।
পাবলিক হেলথ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মজিদ মিয়া বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পরাজয় নিশ্চিত জেনে এদিনে বাঙালি বুদ্ধিজীবী নিধনে মেতে উঠেছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী। বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই ঘটনায় বিশ্ববিবেক স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। কিন্তু তারা জানতনা এদেশের বুদ্ধিজীবীদের শেষ করে ফেলা সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, গ্রামগঞ্জেও বুদ্ধিজীবী রয়েছে এবং দেশের সর্বত্র থেকেই বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা রয়েছে এ দেশের উন্নয়নে।
আলোচনায় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ শাহানশাহ মোল্লা বলেন, ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক শোকাবহ অধ্যায় এবং বাঙালি জাতির জীবনে এক বেদনাময় দিন। ঐদিন এক নীল নকশার মাধ্যম জাতিকে মেধাশূন্য করতে হত্যা করেছিল দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং দার্শনিকসহ অনেক সূর্যসন্তানদের, কিন্তু তাদের এই হত্যাযজ্ঞ সফল হয়নাই। বাংলাদেশ আজ ঠিকই মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতিতে আজ আমরা উন্নতির পথে।
লিডিং ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক কাজী মো. জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান মো. আব্দুল হাই সামেনী, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।