শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে লিডিং ইউনিভার্সিটির শ্রদ্ধাঞ্জলি ও আলোচনা

ভাষা আন্দোলনের চেতনা থেকেই বাংলার স্বাধীনতার ডাক আসে
… দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী২১শের চেতনায় বৈষম্যহীন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে
—উপাচার্য অধ‍্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন

শহিদ দিবস ও  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে লিডিং  ইউনিভার্সিটিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) ভাষাশহিদদের স্মরণে জাতীয় ও  বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো ব্যাজ ধারণ এবং শোভাযাত্রা বের করা হয়।শোভাযাত্রা পরবর্তী ৫২টি ভাষায় ‘মা’ শব্দ দিয়ে লিডিং ইউনিভার্সিটি চত্বরে নির্মিত শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের  প্রতি শ্রদ্ধা প্রদান করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক -শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাবের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়।

শোভাযাত্রা পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ‍্যালারী-১ এ শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে  আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় সংগীতের মাধ‍্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে ভাষাশহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও দেশকে উন্নয়নের শীর্ষে নিয়ে যেতে হলে দেশ প্রেম থাকতে হবে উল্লেখ করে আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, মাতৃভাষা রক্ষার জন্য ভাষা আন্দোলনের  চেতনা থেকেই বাংলার স্বাধীনতার ডাক আসে। একুশের চেতনায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, তাই সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।সভাপতির বক্তব্যে ভাষা শহিদদের আত্বত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে উপাচার্য অধ‍্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন বলেন, বাংলা ভাষা এবং জাতীয় অধিকার রক্ষায় ১৯৪৮ সাল থেকেই বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উঠে এবং ১৯৫২ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয় রাস্ট্রিয় ভাষা হিসেবে। এসময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সকল সফল আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। মায়ের ভাষা রক্ষা, স্বাধীনতা অর্জন এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকায় প্রমাণ করে দেশের উন্নয়ন এবং দেশকে শোষণমুক্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এসময় তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলীর শিক্ষার আলো ছড়ানোর স্বপ্ন থেকেই আজ তরুন শিক্ষার্থীদের পদচারনায় এ অঞ্চল শিক্ষার স্পন্দন পাচ্ছে। তিনি প্রত্যাশা করেন বাংলাদেশ এবং বিশ্বে আজকের এই শিক্ষার্থীরাই শিক্ষার আলো ছড়িয়ে বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করবে এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির সুনাম বয়ে আনবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কাজী মো. জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন ব‍্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ‍্যাপক ড. বশির আহমেদ ভূঁইয়া, আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ‍্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুজ জামান ভূঁইয়া, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম, ট্রাস্টি বোর্ডের সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান, পরিচালকরা অর্থ ও হিসাব মোহাম্মদ কবির আহমেদ এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ‍্যাপক মো.  কবির আহমদ। এময় বক্তারা বলেন, ভাষা শহিদদের রক্ত বৃথা যায় নাই, বাংলা আজ  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাস্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে বাংলা ভাষার চর্চা হচ্ছে। তারা আরো বলেন, অন্যান্য ভাষার প্রতিও আমাদের সম্মান দেখাতে হবে, বিশ্বপরিক্রমায় বিভিন্ন ভাষায় জ্ঞান থাকতে হবে, কিন্তু মাতৃভাষা  একটিই।

অনুষ্ঠানে শেষে ভাষাশহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারি অধ‍্যাপক ড. মো. ফজলে এলাহী মামুন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.