মাতৃভাষা ও সংস্কৃতিকে হৃদয়ে লালন করতে হবে
ড. সৈয়দ রাগীব আলী
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক
আলোচনায় ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, আমাদেরকে মাতৃভাষাসহ অন্যান্য ভাষার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। তিনি আরও বলেন, ভাষা আন্দোলনে শহিদদের আত্মত্যাগের মুল্যায়ন করতে হবে। তাদের ত্যাগকে সামনে রেখে সতর্কতার সাথে আমাদের সংস্কৃতিকে হৃদয়ে লালন করতে হবে। তিনি অনুষ্ঠানে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন।
সভাপতির বক্তব্যে শ্রীযুক্ত বনমালী ভৌমিক বলেন, শহিদদিবসের আগের দিন ভাষাশহিদদের নিয়ে আলোচনায় শিক্ষার্থীদের সচেতনতা ও ভাষাজ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের ভাষা ও সংস্কৃতিকেও শিক্ষার্থীদের পালন করতে হবে। তাহলেই তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল ক্লাবসহ সকলকে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
নিজের দেশ এবং মায়ের পরিচয় বহন করে মাতৃভাষা উল্লেখ করে বিশেষ অতিথি হিসেবে সৈয়দ আব্দুল হাই বলেন, এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং আমাদের সংস্কৃতির ব্যপ্তিকে ধরে রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মাইমুল আহসান খান, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ মোস্তাক আহমদ। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে ‘ওরা আমার মুখের ভাষা,’ ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’, ‘মোদের গরব মোদের আশা’ কোরাস (গান) পরিবেশন করেন কালচারাল ক্লাব সদস্যরা। কবিতা পাঠে
নির্মলেন্দু গুনের ‘ স্বাধীনতা শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো’ কবিতা শিক্ষার্থী নওশীন অর্পা, আমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি’ স্নেহা পুরকায়স্থ, কাজী নজরুল ইসলামের নম: ‘নম: নম: বাংলাদেশ মম:’ শিক্ষার্থী তমা, নিলীমা ইব্রাহিমের ‘আমি বীরঙ্গনা বলছি’ শিক্ষার্থী অর্পা ও চৈতি, গান ‘আমার বাংলা মা তোর’ শিক্ষার্থী তন্বী ও স্নেহা, ‘ আবু জাফর আবদুল্লাহর কবিতা ‘মাগো ওরা বলে’ শিক্ষার্থী নাহিন মীম, শামসুর রহমানের ‘ তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা ‘ শিক্ষার্থী দিগন্ত, মাহবুব উল হালিমের ‘ কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’ শিক্ষার্থী চৈতী, সৃজন সেনের ‘ মাতৃভূমির জন্য’ শিক্ষার্থী ইশিতা, ‘বাংলা টা ঠিক আসে না’ শিক্ষার্থী তন্বী, নির্মলেন্দু গুণের ‘ রাতের কল্পকাহিনী ‘ শিক্ষার্থী সামিয়া, আল মাহমুদের একুশের কবিতা শিক্ষার্থী ঐশি, সৈয়দ শামসুল হকের একুশের কবিতা শিক্ষার্থী পূজা, জসীমউদ্দীন মুহাম্মদের ‘কেউ কথা রাখেনি’ শিক্ষার্থী মাশহুরা মিম পরিবেশন করেন। শিক্ষকদের মধ্যে নির্মলেন্দু গুণের কবিতা ‘আমাকে কি মাল্য দিবে দাও’ ইংরেজী বিভাগের বিভিগীয় প্রধান রুম্পা শারমিন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ জাহিদ হাসান, আইন বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, শামসুর রহমানের ‘ বর্ণমালা আমার দুঃখিনী’ স্থাপত্য বিভাগের প্রভাষক অর্পন শীল পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে ‘আমি বাংলার গান গাই’ গানের তালে নৃত্য পরিবেশন করেন শিক্ষার্থী শতাব্দী।
লিডিং ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. কাওসার হাওলাদার ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সেতু দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বশির আহমেদ ভুঁইয়া, ট্রাস্টি বোর্ডের সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান, প্রক্টর রানা এম. লুৎফুর রহমান পীর, পরিচালক অর্থ ও হিসাব মোহাম্মদ কবির আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।