পুরোনো বছরের ব্যর্থতা, গ্লানি পেছনে ফেলে নতুন বছরে নতুন সম্ভাবনায় অগ্রগামী হওয়ার প্রত্যাশায় ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো…’ গানের সুরে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বরণ করেছে সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটি। বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে ১লা বৈশাখ সকালে লিডিং ইউনিভার্সিটির কালচারাল ক্লাবের আয়োজনে ‘নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় ও কবিতা পাঠের আসর’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলার সভাপতিত্বে এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক -শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মো. মফিজুর ইসলাম জানান, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সকল শ্রেণির মানুষ অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং আমাদেরও এই আয়োজনের কমতি ছিলনা। কিন্তু ক্যাম্পাস সংলগ্ন রাস্তার মেরামত কাজের জন্য পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটায় আজ লিডিং ইউনিভার্সিটিকে অনলাইনে বর্ষরণ করতে হয়েছে।
বাংলার গৌরবময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার বাংলা নববর্ষ সকলের জন্য কল্যাণকর হোক এই প্রত্যাশায় সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, বাংলায় নববর্ষ কেবল একটি বার্ষিক আনুষ্ঠানিকতার ভেতরে সীমিত নয়; এর সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব সুদূরপ্রসারী। এই দিনে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ একসঙ্গে একই অনুভবে একাত্ম হয়ে উৎসবে শামিল হন। উদ্যাপন করেন বাংলার সংস্কৃতির স্বকীয়তার প্রতীক বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। তিনি নতুন বছরে সবাইকে একতাবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করার আহবান জানান।
পয়লা বৈশাখ বাংলাদেশের সবচেয়ে সেক্যুলার উৎসব, সর্বজনীন লোকাচার উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা বলেন, বাংলাদেশে
এরই মধ্যে ‘করোনা-কুয়াশা’ কাটিয়ে প্রখর হয়েছে ‘সুসময়ের’ সূর্য; তাই বৈশাখবরণে এবার যোগ হয়েছে আগের সেই আলোর ঝলমলতা। আর সেই আলোয় উজ্জীবিত হয়ে পুরোনো বছরের ভুলভ্রান্তি থেকে, না-পাওয়া থেকে, স্বপ্নভঙ্গ থেকে, হতাশা থেকে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠার প্রত্যয়-স্পন্দিত বুকে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে উন্নতির লক্ষ্যে।
পুরাতন বছরের সব গ্লানি মুছে ফেলে নববর্ষের বার্তার সহিষ্ণুতা ও সম্প্রীতির আলোকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন-সাহস-সঞ্জীবনী ধারণ করার আহবান জানিয়ে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভুঁইয়া, আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সৈয়দা জেরিনা হোসেন, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ মোস্তাক আহমদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. কাওসার হাওলাদারের সঞ্চালনায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের কবিতা পাঠের আসরে কবিতা পাঠ করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও কালচারাল ক্লাবের সদস্য চৈতি চৌধুরী, সামিয়া জাহান, মাসরুহা নাহিন এবং ফাতেমাতুজ জাহুরা।