বাংলার মাটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে
এ দেশের জন্মই হতো না
————— সৈয়দ মো: আব্দুল হান্নান
সিলেটের প্রথম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০১৭ উপলক্ষে ’বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল গত ১৫ আগস্ট ২০১৭ সকাল ১১:০০ টায় ইউনিভার্সিটির সুরমা টাওয়ার ক্যাম্পাসের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো: আব্দুল হান্নান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল হান্নান বলেন, বাঙালির জাতীয় জীবনে আগস্ট এক গভীর শোকের মাস। কারণ ১৯৭৫ সালে আগস্ট মাসের ১৫ তারিখে একদল বিপথগামী সামরিক অফিসারদের হাতে অত্যন্ত নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়েছিল বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মহান নেতা, বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারবর্গকে। তিনি শ্রদ্ধা ভরে সেই মহান নেতা এবং তার পরিবারবর্গকে স্মরণ করেন এবং মহান নেতা এবং তার পরিবারবর্গের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে দৃঢ়তার সাথে বলেন, বাংলার মাটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে এ দেশের জন্মই হতো না। স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। কতিপয় বিপথগামী ও উশৃংখল সামরিক অফিসার জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাধ্যমে আমাদের সেই মহান স্বাধীনতাকে ভুলুণ্ঠিত করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সে বাসনা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।
আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মধ্যে বেঁচে নেই। কিন্তু আমাদের মধ্যে রয়েছেন তারই সুযোগ্য উত্তরাধিকারিণী গণতন্ত্রের মানসকন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার সুদক্ষ দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি সম্ভাবনাময় আগামির পথে এগিয়ে চলেছে। পরিশেষে তিনি কল্যাণের পথে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক এই প্রত্যাশা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই ভয়াল বীভৎস ও কলঙ্কের কালিমায় কলুষিত বিভীষিকাময় এক ভয়ংকর ইতিহাসের কথা তুলে ধরে বলেন- বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে আমাদেরকে সুন্দর সমাজ ও দেশ গড়তে হবে। তার আদর্শ, তার চেতনা এবং কর্মকে লালন করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্দভাবে কাজ করতে হবে। দেশের মুক্তি, সবার জন্য শিক্ষা, খাদ্য, সমঅধিকার ও অসামপ্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নই ছিল জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের। কিন্তু ৭৫ পরবর্তী প্রায় দুই দশক বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশর ইতিহাসকে বিকৃত করার যে প্রয়াশ চালানো হয়েছে এবং যেবাবে তার হত্যার বিচর কার্য পরিচালান করা যাবেনা বলে বাঙালী জাতিকে ভুল দিকনির্দেশনা দিয়েছে তা কখনো কাম্য ছিল না। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আতœজীবনীসহ অন্যান্য বইগুলিতে সঠিক রাজনীতির মাধ্যমে কিভাবে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবার দিকনির্দেশনা রয়েছে তা আজকের এই তরুন শিক্ষার্থীদের জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু একজন ব্যক্তি নন, একটি প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভিশন ২১ এর মাধ্যমে জাতির পিতার সেই সপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং হবে। তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে
বাংলাদেশকে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সবাইকে সকল পর্যায়ে সহযোগীতা করার জন্য আহবান জানান।
আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর জীবনী-সাহিত্য, শিল্প, সৃজনশীলতা এবং ১৫ আগস্টের স্মৃতিচারন বিষয়ে আরও বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন প্রফেসর মো. নজরুল ইসলাম, কলা এবং আধুনীক ভাষা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. গাজী আবদুল্লাহ হেল বাকী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস. এম. আলী আক্কাস, বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো: লুৎফর রহমান, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা প্রফেসর মো: আবুল কালাম চৌধুরী, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো: জহির বিন আলম, প্রক্টর (ইনচার্য) মো: মাহবুবুর রহমান, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রফেসর ড. ওয়াহিদুজ্জামান খান, সহকারী অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান বায়েজিত, ডেপুটি রেজিস্ট্রার (এডমিশন) মো: কাওসার হাওলাদার এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আহমেদ তানভীর। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক কাজী মো: জাহিদ হাসান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে লিডিং ইউনিভার্সিটি পরিবারের পক্ষথেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তপক অর্পণ করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক মোঃ ফজলে এলাহি মামুন। অনুষ্ঠানে লিডিং ইউনিভার্সিটির সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।