লিডিং ইউনিভার্সিটিথে “করোনাকালীন ক্রমবর্ধমান সামাজিক অস্থিরতা: প্রতিরোধ, প্রতিকার ও ছাত্র সমাজের ভূমিকা“ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লিডিং ইউনিভার্সিটির যৌন হয়রানি ও সচেতনতা বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলীর সভাপতিত্বে অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নুর উন নবী।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে লিডিং ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শ্রীযুক্ত বনমালী ভৌমিক ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সৈয়দ আব্দুল হাই এবং মূখ্য আলোচক হিসেবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আমিনা পারভীন উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর উন নবী বলেন, সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে হবে এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রবনতা বাড়াতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক দায়িত্ব ও নৈতিকতাবোধ সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, পরিবার, প্রতিবেশী এবং সমাজ ব্যবস্থাপনা সামাজিক অস্থিরতা কমাতে পারে। তাই পারিবারিক অস্থিরতা কমানো এবং প্রথমে নিজের পরিবারের সদস্যদেরকে শ্রদ্ধা করতে শিখাতে হবে। তিন আরও বলেন, নারীদের সামাজিক ক্ষমতায়ন নারীর প্রতি সহনশীল হতে সহায়ক হবে। সেই সাথে এ বিষয়ে রাষ্ট্রের জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক এ করোনা পরিস্থিতি আমাদেরকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। ভয় নয় সচেতনতায় জয়- তা সত্যেও এ মহামারি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবং সামাজিক সংহতি তৈরি করতে তিনি সবার প্রতি আহবান জানান।
অধ্যাপক আমিনা পারভীন কোভিড-১৯ আতঙ্ক সমাজে কি ধরনের পরিবর্তন এনেছে এবং এ সময় শিক্ষার্থীদের করণীয় বিষয়ে বলেন, ভিন্নধর্মী এ ভাইরাস আমাদের সবার জীবনে নাড়া দিয়েছে। পারিবারিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিকসহ মনস্তাত্ত্বিক জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বর্তমান পরিস্থিতি। আমাদেরকে প্রতিনিয়ত বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সেই সাথে সামাজিক অবক্ষয় এবং বিভিন্ন অপকর্ম সামাজিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই অস্থিরতার প্রভাব শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়ছে। তাই এ থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে সমাজের দায়িত্বশীল জায়গাই ভূমিকা রাখতে হবে। কোনভাবেই বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবেনা, সবার সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে, যেকোনো সমস্যা শেয়ার করতে হবে যাতে সমাধান আসতে পারে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটির কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমেদ, ইন্ডেপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহরিয়ার খান এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মেজর (অব) শাহ আলম, পিএসসি।
সিএসই বিভাগের প্রভাষক কাজী মো. জাহিদ হাসান ও পাবলিক হেলথ বিভাগের প্রভাষক ডা. সাবরিনা ফরিদা চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিসেস রুমপা শারমীন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।