মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি এবং দেশ ও দশের গান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৬ মার্চ ২০২৩) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও শহিদমিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা, ট্রেজারার শ্রীযুক্ত বনমালী ভৌমিক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক -শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা -কর্মচারীবৃন্দ।
সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ”ক গ্রুপ’ বয়স ৩ থেকে ৬ বছর ইচ্ছামতো বিষয়ে প্রথম হয়েছে সিলেটের চারুপাঠ চারুবিদ্যালয় ও আনন্দনিকেতন স্কুলের শিক্ষার্থী আরহাম মানসুর হোসাইন। এ বিভাগে দ্বিতীয় ইউরো কিডস স্কুলের সাফওয়াত মারজূকা এবং তৃতীয় একই স্কুলের ফাইজা হোসেন ফিহা।
স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ বিষয়ে ‘খ গ্রুপ’ বয়স ৬ থেকে ৯ বছর প্রথম স্কলার্সহোম স্কুলের শিক্ষার্থী অদ্বিতীয়া পাল, দ্বিতীয় চারুপাঠ চারুবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতেমা জান্নাত নাবিহা এবং তৃতীয় শাহজালাল জামেয়ার শিক্ষার্থী ইউশা আহমেদ। আবৃত্তিতে প্রথম স্কলারর্সহোম স্কুলের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অনিমুগ্ধ পাল এবং ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী দেবপ্রিয় কুমার নাথ। শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক গানের প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে দেবপ্রিয় কুমার নাথ। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ফারহানা হক এবং আযীমা তাবাস্সুম, কবিতা আবৃত্তি এবং দেশাত্মবোধক গানের বিচারক হিসেবে ছিলেন মো. কাজী জাহিদ হাসান এবং এনাম আহমেদ।
সকাল সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে আলোচনার ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাকে জাগ্রত করে রাখতে শিশু, কিশোর এবং তরুণদেরকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সম্পৃক্ত করতে হবে। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা আজ স্বাধীন তাই দেশের উন্নয়নের মাধ্যমে তৎকালীন স্বাধীনতা বিরোধীদেরকে দেখিয়ে দিতে হবে আমরা সত্যিই বিজয়ী আর এই বিজয় এবং উন্নয়নের জন্যই আমরা স্বাধীনতা চেয়েছি। স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি এবং এর মর্যাদা আমরাই রক্ষা করব। সেইজন্য এদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির উন্নয়নে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশ বিষয়ে আমাদের প্রাপ্তি বিষয়ে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা, ট্রেজারার শ্রীযুক্ত বনমালী ভৌমিক, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভুঁইয়া, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. মো. মাইমুল আহসান খান, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম, পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ মোস্তাক আহমদ, রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মাহবুবুর রহমান।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. কাওসার হাওলাদার এবং ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সেতু দাসের সঞ্চালনায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উদযাপন অনুষ্ঠানে লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাসি বোর্ডের সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক -শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রতিযোগিতায় অুশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।