জুলাই বিপ্লবে শহিদ পরিবারের সদস্যরা পাবে লিডিং ইউনিভার্সিটিতে বিনাবেতনে পড়ার সুযোগ
—-দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে লিডিং ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত স্মরণসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব, উপমহাদেশের অন্যতম দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। বৃহস্পতিবার (০৫ জুলাই ২০২৪) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় শহিদ পরিবারের সদস্য, আহত এবং কারা নির্যাতিত শিক্ষার্থীদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে তিনি আরো বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের জন্য বিনাবেতনে পড়ার যেমন সুযোগ রয়েছে তেমনি জুলাই বিপ্লবে শহিদ পরিবারের সদস্যরাও লিডিং ইউনিভার্সিটিতে বিনাবেতনে পড়ার সুযোগ পাবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক লিডিং ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আসিফুর রহমান দিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুস শহীদ। পবিত্র গীতা পাঠ করেন ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী সৌমিত্র দাস। সভার শুরুতে জুলাই আন্দোলনে যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি নতুন বাংলাদেশ তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে কলা ও আধুনিক বিজ্ঞান অনুষ্ঠানের ডিন এবং অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির আহবায়ক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম। পরবর্তীতে জুলাই বিপ্লবের স্মৃতিচারণে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
স্মরণ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভুঁইয়া, আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন রুমেল এম. এস. রহমান পীর, প্রক্টর মো. মাহবুবুর রহমান, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ শাহানশাহ মোল্লা এবং সিলেটের ডাক পত্রিকার অতিথি সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বাসন। কবিতা আবৃত্তি করেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক কাজী মো. জাহিদ হাসান।
আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন শহিদ সাংবাদিক আবু তাহের মো. তোরাবের ভাই। পুলিশের গুলিতে আহত লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নিশাত আনজুম। কারা নির্যাতিত শিক্ষার্থী জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সমন্বয়ক মো. আবুল হাসান নাবিল, আদনান এবং লোটাস।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে লিডিং ইউনিভার্সিটির যেসকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সক্রিয় অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক মো. জেহাদুল ইসলাম মনি, জুলাই বিপ্লবের লড়াকু সৈনিক অন্যতম সমন্বয়ক মাহবুবুর রহমান শান্ত, তোফায়েল আহমেদ, সায়মন সাদিক জুনেদ।
দ্বিতীয়পর্বে লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সৈয়দা সালসাবিল ইসলাম আরিয়ার সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অনুপ্রেরণা ও দেশাত্মবোধক গানপরিবেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল ক্লাবের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে লিডিং ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের প্রফেসর ডা. মো. আব্দুল মজিদ মিয়া, পরিচালক অর্থ ও হিসাব মোহাম্মদ কবির আহমেদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক -শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।