স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটি।
জাতীয় কর্মসূচির সাথে সমন্নয় রেখে এ উপলক্ষ্যে সোমবার (১৫ আগস্ট ২০২৩) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু চত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী, উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী আজিজুল মাওলা, ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার শ্রীযুক্ত বনমালী ভৌমিক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারি-১ এ ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা এবং ১৫ই আগস্টের সকল শহিদদের স্মরণ করে দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে দেশ পরিচালনায় এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা করার বিষয় রাখতে হবে যাতে বতর্মান প্রজন্ম দেশ গড়ারক্ষেত্রে তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অবদান ও দিকনির্দেশনা সম্পর্কে জানতে পারে। তিনি সেই মহান নেতা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে তাঁর রাজনৈতিক, মানবিক এবং আদর্শগত যে গুণাবলী রয়েছে তা বর্তমান প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হতে হবে। মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধু একজন ব্যক্তি নন, একটি প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু অনেক ত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ আমাদেরকে দিয়েছেন। তাই তাঁর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে পরিপূর্ণ করতে এবং দেশের উন্নয়নে সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সৈয়দ আব্দুল হাই বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু আজও আমরা তাঁকে দেখতে পাই। বঙ্গবন্ধুর কর্মের মাধ্যমে দেশ ও জাতি তাঁকে মনে ধরে রেখেছে। শ্রীযুক্ত বনমালী ভৌমিক বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্যই আজ আমরা স্বাধীন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর সুচিন্তিত রাজনীতি এবং সঠিক দিকনির্দেশনা কথা উল্লেখ করে তাঁর পরিবারের সকল সদস্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আনুষ্ঠানে কবি নির্মলেন্দু গুণের লেখা ‘আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি’ এবং সেই রাত্রির কল্পকাহিনী’ – কবিতা আবৃত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চৈতি চৌধুরী এবং দিগন্ত তালুকদার।
আলোচনায় ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ বিষয়ে আরও বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটির কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম, ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিসেস রুমপা শারমিন এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্টের উপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (এডমিশন) মো. কাওসার হাওলাদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে
লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সচিব ইঞ্জিনিয়ারিং মো. লুৎফর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ফজলে এলাহী মামুন।