বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হত না
. . . . ড. সৈয়দ রাগীব আলী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গত ১৭ মার্চ ২০১৮ শনিবার সিলেটের প্রথম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির রাগীব নগরস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং আলোচনা সভা অনষ্ঠিত হয়। লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ কামরুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী।
হাজার বছরের শেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করে দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হত না। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও তার বাস্তব প্রয়োগ বিষয়ে আলোকপাত করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আজ বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে তার পেছনে সবচেয়ে বড় প্রেরণা ও শক্তি হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ ও দেশ প্রেমিক সাহসী চেতনা। তিনি বর্তমান প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও আদর্শকে ধারণ করে দেশ ও সমাজের উন্নয়নের লক্ষ্যে সঠিক নের্তৃত্ব গড়ার আহবান জানান। তিনি আরও বলেন, মানবসম্পদ গড়ে তুলতে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন দরকার, আর এসবের জন্য বঙ্গবন্ধু প্রতিবারই গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন বর্তমান সরকারের আমলে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে এবং যাবে। তিনি লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে করে তাদের অনেকেই আগামীতে দেশ পরিচালনায় আসবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ কামরুজ্জামান চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মদিবসে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন,জাতির পিতার জীবন ও আদর্শকে আমাদের জাতীয় জীবনে অতিব গুরুত্বপূর্ণ, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমান তরুণ প্রজন্ম নিজেদেরকে দেশের সুনাগরীগ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। ভারতবর্ষের বিভাজনের পর থেকে তৎকালীন পাকিস্থান সরকার আমাদেরকে ভাষা ও অর্থনৈতিকভাবে যে বৈষম্য দেখিয়েছে এবং বঞ্চিত করেছে তার মুক্তির জন্যই ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা। তিনি আরও বলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাতে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে উদ্দেশ্য করে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন জানার জন্য তাঁর লিখিত বইগুলো পড়ার জন্য আহবান জানান যাতে সামনে তরুন সমাজ বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শকে ধারণ করে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারবে। আজ জাতীয় শিশু দিবস, শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমত্ব ছিল অসাধারণ। তিনি শিশুদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রেখে তাদেরকে সমাজে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সবার প্রতি আহবান জানান।
লিডিং ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার (্্এ্যডমিশন) মো. কাওসার হাওলাদারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিক যেমন রাজনৈতিক সংগ্রাম, দেশ পরিচালনা, কারাগারের সময়কাল এবং আতœমানবতার সংগ্রামসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন প্রফেসর মো. নজরুল ইসলাম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এস. এম. আলী আক্কাস, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. গাজী আব্দুল্লাহেল বাকী, আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হাবিবুল আহসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টও ও ইংরেজী বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং শিক্ষার্থী ফাহমিদ চৌধূরী। আলোজনা শেষে জন্ম দিবসের কেক কাটা হয় এবংএতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।