ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও দেশ উন্নয়নে দেশ প্রেম থাকতে হবে
. .. . . দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন লিডিং ইউনিভার্সিটি পরিবার। ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ সকাল ১০:০০টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলীর নেতৃত্বে একটি র্যালী শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে নবনির্মিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তপক অর্পণ করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ শ্রীযুক্ত বনমালী ভৌমিক, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দ আব্দুল হাই, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় একাডেমিক ভবনের গ্যালারী-১ এ ‘শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করে দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, তাদের রক্ত বৃথা যায় নাই এবং যাবে না। ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও দেশকে উন্নয়নের শীর্ষে নিয়ে যেতে হলে দেশ প্রেম থাকতে হবে। বাংলা আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বিকৃত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাস্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে বাংলা ভাষার চর্চা হচ্ছে, রাস্থা, মার্কেটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামকরন বাংলায় করা হচ্ছে, এটা আমাদের গৌরবের বিষয়। আর তা সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও দেশকে স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যই। তবে বাংলাদেশের আদালত, অফিস, ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাংলা ভাষার ব্যবহার রাড়াতে হবে। তিনি বলেন, তরুন শিক্ষার্থীদের পদচারনায় এ অঞ্চল শিক্ষার স্পন্দন পাচ্ছে। তিনি প্রত্যাশা করেন বাংলাদেশ এবং বিশ্বে আজকের এই শিক্ষার্থীরাই শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে লিডিং ইউনিভার্সিটির সুনাম বয়ে আনবে।
সভাপতির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, মাতৃভাষা রক্ষার জন্য ভাষা আন্দোলন থেকেই বাংলার স্বাধীনতার ডাক আসে। অন্যান্য ভাষার প্রতিও আমাদের সম্মান দেখাতে হবে, বিশ্বপরিক্রমায় বিভিন্ন ভাষায় জ্ঞান থাকতে হবে, কিন্তু মাতৃভাষা একটিই। ভাষা শহিদদের আত্বত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তিনি তাদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন।
লিডিং ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. কাওসার হাওলাদারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ শ্রীযুক্ত বনমালী ভৌমিক, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সৈয়দ আব্দুল হাই। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডীন অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমেদ।
সবায় আধুনিক বিজ্ঞানঅনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এম. রকিব উদ্দিন, পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোস্তাক আহমাদ দীন, রেজিস্ট্রার মেজর (অব) মো. শাহ আলম পিএসসি, প্রক্টর মো. রাশেদুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।